আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনে ট্রাজেডির এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। শনিবার (২৩শে নভেম্বর) তাজরীন ফ্যাশনের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ করা হয়।
এসময় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে নিহতদের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয় এবং নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রমিক সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, পোশাক খাতে শ্রমিকদের জীবন এভাবে যেন ঝড়ে না যায় সেদিকে যত্নবান হতে হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনলে পোশাক খাতে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন ১১৭ জন ও আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক শ্রমিক। তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা চাই প্রতিটা আহত শ্রমিক ও নিহতের পরিবার যেন তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পায়। তারা যেন আন্তর্জাতিক মানের ক্ষতিপূরণ পান এ দাবি জানাই।
এছাড়া তাজরীনের পরিত্যক্ত ভবনটি সংস্কার করে দ্রুত শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান। যেখানে সকল শ্রমিকের বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নেতাকর্মীরা।
সব শেষে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।